Chief TV - Leading online news portal of Bangladesh.

Header
collapse
...
Home / আঞ্চলিক / সৈয়দপুরের কামারপুকুর ইউপি চেয়ারম্যানের দূর্নীতির তদন্ত ও বিচার চেয়ে ডিসির কাছে মেম্বারদের আবেদন - Chief TV

সৈয়দপুরের কামারপুকুর ইউপি চেয়ারম্যানের দূর্নীতির তদন্ত ও বিচার চেয়ে ডিসির কাছে মেম্বারদের আবেদন - Chief TV

2025-09-07  সম্পাদক  27 views
সৈয়দপুরের কামারপুকুর ইউপি চেয়ারম্যানের দূর্নীতির তদন্ত ও বিচার চেয়ে ডিসির কাছে মেম্বারদের আবেদন - Chief TV

মো:জাকির হোসেন সৈয়দপুর ( নীলফামারী) প্রতিনিধি

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন সরকারের নানা দূর্নীতির তদন্ত ও বিচারের দাবীতে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) আবেদনকারী মেম্বাররা সাংবাদিকদের জানান গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) তারা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদনটি করেছেন। পরিষদের প্যাডে করা ওই আবেদনে ৬ টি সুনির্দিষ্ট ও গুরুত্বর অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে।

অভিযোগগুলো হলো, চেয়ারম্যান ফেসিস্ট নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের ইউনিয়নের সভাপতি ও ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং এখনও নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগকে সংগঠিত করার কাজে নিয়োজিত আছেন।

ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব পুকুর, দোকান ও বিল্ডিং ভাড়ার টাকা সম্পূর্ণ আত্মসাৎ করেছেন। অথচ মেম্বাররা সম্মানী ভাতার দাবী করলে তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

কামারপুকুর ইউনিয়নটি একটি শিল্পাঞ্চল এলাকা। এখানে প্রতি বছর প্রায় কোটি টাকার কর, ট্যাক্স এবং ট্রেড লাইসেন্স ফি আদায় করা হয়। এসব টাকা চেয়ারম্যান নিজে আদায় করেন এবং কোন খাতে জমা না করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন।  সদস্যরা এই হিসাব চাইলে চেয়ারম্যান তাদের ধমক দিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দমিয়ে রাখেন।

সৈয়দপুর উপজেলার মধ্যে কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ ১% খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ হিস্যা পায়। চেয়ারম্যান উক্ত টাকার কোন প্রকল্প মেম্বারদের দেননা। মেম্বাররা সম্মানী ভাতার কথা বললে চেয়ারমান বলেন, ১% টাকা দিয়ে সম্মানী ভাতা প্রদানের বিধান নাই। এভাবে ১% এর সব টাকা ভূয়া প্রকল্পের নামে নিজে আত্মসাৎ করেছেন।

বিভিন্ন সময়ে ইউনিয়নের সরকারী গাছপালা কেটে নিজেই আত্মসাৎ করেছেন। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন সেট ঘরের টিন কাঠ অবৈধ ভাবে বিক্রি করে সেই টাকাও নিজের পকেটে ঢুকিয়েছেন।

বিভিন্ন সময়ে উন্নয়ন প্রকল্প সমূহ তিনি কৌশলে নিজের নামে করিয়ে নিজে প্রকল্প চেয়ারম্যান হন এবং কোন কাজ না করেই সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন।

আবেদনে পরিষদের ১২ জন সদস্যের মধ্যে ৭ জন সদস্য স্বাক্ষর করেছেন। তাঁরা হলেন, প্যানেল চেয়ারম্যান ও ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল মুয়ীদ আলাল, ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল হালিম, ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জাহিদুল ইসলাম, ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল জলিল, ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ওহিদুল ইসলাম, ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রহিদুল ইসলাম ও ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোরসালিন হক।

তিনজন সংরক্ষিত নারী মেম্বার এবং ২ ও ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার এই আবেদনে স্বাক্ষর করেননি।

অভিযোগের বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ আলাল বলেন, পরিষদ যেন চেয়ারম্যানের রাম রাজত্ব। চরম স্বেচ্ছাচারীতার সাথে তিনি পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। মেম্বারদের কোন মূল্যায়নই করেননা। এতো অনিয়ম দূর্নীতি করলেও তিনি বহাল তবিয়তে। নিয়মিত অফিস করেননা। ফলে সেবা বঞ্চিত ইউনিয়নবাসী।

ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল হালিম বলেন, চেয়ারম্যানের স্বৈরাচারী আচরণের কারণে আমরা মেম্বাররা এলাকার উন্নয়ন কাজ থেকে বঞ্চিত। এমনকি নিজেদের সম্মানী ভাতাও ঠিকমতো পাইনা। অথচ পরিষদের আয়ের কোন ঘাটতি নেই। কিন্তু সব টাকা এককভাবে হাতিয়ে নিয়ে পকেটস্থ করেছেন চেয়ারম্যান। ফলে এলাকাবাসীর কাছে চরমভাবে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমাদের।

আব্দুল জলিল মেম্বার বলেন, চেয়ারম্যান সবক্ষেত্রেই দূর্নীতিগ্রস্থ। অনিয়ম করতে করতে বেপরোয়া হয়েছেন। ভিজিডি সুবিধা প্রাপ্ত অসহায় দুস্থ নারীদের সঞ্চয়ের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন। গত মাসের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ করেছেন সরকারি নিয়ম অমান্য করে নিজের অনুপস্থিতিতে বহিরাগত ব্যক্তিদের দিয়ে। মেম্বাররা থাকতে তিনি একাজ করতে পারেন না। আমাদেরকে কোন বিষয়েই তিনি মূল্যায়ন করেননা।


Share: