কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন শুধু প্রযুক্তি বা তথ্যভিত্তিক কাজে নয়, মানুষের ব্যক্তিগত সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। চ্যাটজিপিটি বা মেটা এআই–এর মতো জনপ্রিয় চ্যাটবটগুলোতে অনেক ব্যবহারকারী রোমান্টিক কথোপকথনে জড়িয়ে পড়ছেন—যা শিশু ও কিশোরদের অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।
তবে এই প্রতিযোগিতায় ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছে মাইক্রোসফট। প্রতিষ্ঠানটির এআই বিভাগের প্রধান নির্বাহী মুস্তাফা সুলেইমান জানিয়েছেন, মাইক্রোসফট এমন একটি এআই তৈরি করতে চায় যা হবে নির্ভরযোগ্য, সীমাবদ্ধ এবং নিরাপদ—যা অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ব্যবহার করতে নির্ভয়ে অনুমতি দিতে পারবেন।
বর্তমানে ওপেনএআই, মেটা ও গুগলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মাইক্রোসফট তাদের এআই টুল কোপাইলট–কে জনপ্রিয় করতে কাজ করছে। কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, এখন মাসে প্রায় ১০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী কোপাইলট ব্যবহার করছেন। তুলনামূলকভাবে চ্যাটজিপিটির মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী সংখ্যা ৮০০ মিলিয়নেরও বেশি।
মুস্তাফা সুলেইমান বলেন, “আমরা এমন কোনো ‘ডিজিটাল মানুষ’ বানাতে চাই না, যা মানুষের বিকল্প হয়ে দাঁড়াবে। বরং এমন সহায়ক প্রযুক্তি তৈরি করতে চাই যা মানুষকে সাহায্য করবে, কিন্তু তাদের জায়গা নেবে না।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের প্রতিটি আপডেটের লক্ষ্য হলো মানুষকে মানুষের সঙ্গে সংযুক্ত করা। আমরা চাই না ব্যবহারকারীরা কল্পনার জগতে হারিয়ে যাক; বরং বাস্তব জীবনের সম্পর্ক ও যোগাযোগে উৎসাহিত হোক।”
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু এআই প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে কিশোর–কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতির অভিযোগ উঠেছে। যেমন ওপেনএআই ও ক্যারেক্টার এআই–এর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাদের চ্যাটবটগুলো কিশোরদের মানসিকভাবে প্রভাবিত করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মূল বার্তা: মাইক্রোসফটের লক্ষ্য এমন এক নিরাপদ এআই তৈরি করা, যা মানুষকে সহায়তা করবে, কিন্তু মানবিক সম্পর্কের বিকল্প হবে না।