দেশে মোবাইল ফোন চুরি ও অবৈধ আমদানি রোধে নির্ধারিত ‘ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর)’ সিস্টেম চালুর তারিখ পুনরায় পেছানো হয়েছে। টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৬ ডিসেম্বরের পরিবর্তে এখন ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এনইআইআর কার্যকর হবে।
NEIR (National Equipment Identity Register)** বা জাতীয় সরঞ্জাম পরিচিতি রেজিস্টার, যা একটি কেন্দ্রীয় সিস্টেম যার মাধ্যমে প্রতিটি ফোনের IMEI নম্বর NID এবং SIM-এর সাথে যুক্ত করে বৈধ বা অবৈধ হ্যান্ডসেট চিহ্নিত করা হয়, ফলে অবৈধ ও চোরাই ফোন দেশে প্রবেশ ও ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব হয় এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়, তবে বর্তমানে থাকা পুরনো আনঅফিসিয়াল ফোন নিবন্ধনের জন্য মার্চ ২০২৬ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
এটি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC) কর্তৃক চালু করা একটি ব্যবস্থা, যা IMEI নম্বরের মাধ্যমে ফোন শনাক্ত করে।
এর মূল উদ্দেশ্য হলো চোরাই, ক্লোনড (Clone), রিফার্বিশড (Refurbished) এবং অবৈধভাবে আমদানি করা ফোন বন্ধ করা।
কীভাবে কাজ করে?
NEIR সিস্টেম প্রতিটি ফোনের IMEI নম্বরকে ব্যবহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এবং ব্যবহৃত সিমের সাথে সংযুক্ত করে।
যেসব ফোন এই সিস্টেমে নিবন্ধিত হবে না, সেগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে বা নেটওয়ার্ক পাবে না।
বর্তমান পরিস্থিতি:
১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে NEIR সিস্টেম চালু হয়েছে, কিন্তু মোবাইল ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে বর্তমানে বাজারে থাকা আনঅফিসিয়াল ফোনগুলো আগামী ১৫ মার্চ ২০২৬ পর্যন্ত নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছে।
এর পরে নতুন কোনো আনঅফিসিয়াল সিম এই ধরনের ফোনে ব্যবহার করা যাবে না, এবং ধীরে ধীরে সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
সুবিধা:
অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেটের ব্যবহার বন্ধ হবে।
ডিজিটাল অপরাধ দমন ও বাজার শৃঙ্খলা নিশ্চিত হবে।
সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।