২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দেশের মোট ২০২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো শিক্ষার্থীই উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
আজ বুধবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির।
তিনি জানান, গত বছর (২০২৪ সালে) শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৬৫টি। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০২টিতে।
এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৯ শতাংশ কম।
শিক্ষার্থীরা ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য ১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। আবেদন করা যাবে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে —
https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd
শিক্ষাবোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের সহায়তা ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।
শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, শিক্ষার মানের অবনতি, অনিয়মিত পাঠদান, শিক্ষক সংকট ও শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির ঘাটতি— এসব কারণেই এবার শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে।
এদিকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডগুলো ইতোমধ্যে শিক্ষার মান উন্নয়নে নতুন উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে।