আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চার নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যার পর চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কদমরসুল, ভাটিয়ারী বাজার ও জলিল গেইট এলাকায় সহিংসতা, হানাহানি ও রাস্তা অবরোধসহ নানাবিধ জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ায় চার নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন—
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আলাউদ্দিন মনি,
সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বাবর,
সীতাকুণ্ড পৌরসভার আহ্বায়ক মামুন,
যুবদলের সোনাইছড়ী ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মমিন উদ্দিন মিন্টু।
দলীয় সূত্র জানায়, এরা সবাই আসলাম চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এর আগে বিএনপি চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে ১০টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। ঘোষিত আসনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই): নুরুল আমিন (চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক)
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি): সরওয়ার আলমগীর (চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক)
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড): কাজী সালাউদ্দিন (চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক)
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী): মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন (বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম বিভাগ)
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া): হুম্মাম কাদের চৌধুরী (বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য)
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও): এরশাদ উল্লাহ (চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক)
চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-হালিশহর): আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য)
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া): মোহাম্মদ এনামুল হক (চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক)
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা): সরওয়ার জামাল নিজাম (সাবেক সংসদ সদস্য)
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী): মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক)
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়ন নিয়ে সহিংসতার ঘটনায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। দলটি জানায়, নির্বাচন সামনে রেখে শৃঙ্খলা ভঙ্গ বা জনস্বার্থবিরোধী কার্যক্রমে যুক্ত হলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।