বিশ্বজুড়ে ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন আশা জাগিয়েছে। সম্প্রতি গবেষকরা এমন একটি শক্তিশালী টি-সেল আবিষ্কার করেছেন, যা একাই বিভিন্ন ধরনের টিউমারের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধ তৈরি করতে সক্ষম।
গবেষণায় দেখা গেছে, টিউমার-ইনফিলট্রেটিং লিম্ফোসাইট (TIL) থেরাপিতে অংশ নেওয়া কিছু ক্যানসার রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন। চিকিৎসার প্রায় এক বছর পরও তাদের শরীরে এই শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় ছিল।
বিশ্বজুড়ে ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন আশা জাগিয়েছে। সম্প্রতি গবেষকরা এমন একটি শক্তিশালী টি-সেল আবিষ্কার করেছেন, যা একাই বিভিন্ন ধরনের টিউমারের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধ তৈরি করতে সক্ষম।
গবেষণায় দেখা গেছে, টিউমার-ইনফিলট্রেটিং লিম্ফোসাইট (TIL) থেরাপিতে অংশ নেওয়া কিছু ক্যানসার রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন। চিকিৎসার প্রায় এক বছর পরও তাদের শরীরে এই শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় ছিল।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই রোগীদের শরীরে থাকা বিশেষ “মাল্টি-প্রংড” টি-সেলগুলো সাধারণ টি-সেলের তুলনায় একাধিক ক্যানসার প্রোটিন শনাক্ত ও আক্রমণ করতে পারে। অর্থাৎ, একই ধরণের টি-সেল একাধিক ক্যানসারের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে লড়াই করতে সক্ষম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বহুমুখী আক্রমণ ক্ষমতার কারণে কিছু রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন। অন্যদিকে, যাদের ক্যানসার চিকিৎসার পরও অব্যাহত থাকে, তাদের শরীরে এ ধরনের টি-সেল পাওয়া যায়নি।
এই থেরাপিতে রোগীর নিজস্ব টিউমার থেকে ইমিউন সেল সংগ্রহ করা হয়, ল্যাবে তা বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করা হয়, এবং পুনরায় শরীরে প্রবেশ করানো হয়। এই পদ্ধতি শেষ পর্যায়ের ক্যানসার রোগীদের মধ্যে বিশেষ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে, বিশেষ করে মেলানোমা ক্যানসারের ক্ষেত্রে।
গবেষকরা এখন চেষ্টা করছেন, এই ‘মাল্টি-প্রংড’ টি-সেলগুলো ল্যাবে তৈরি করে অন্যান্য ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায় কি না, যেমন রক্তের ক্যানসারে CAR-T থেরাপির মতো সফল ফলাফল পাওয়া গেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গবেষণা সফলভাবে প্রয়োগ করা গেলে ক্যানসারের বিরুদ্ধে একটি জীবন্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থার নতুন যুগ শুরু হতে পারে। গবেষক দলের একজনের ভাষায়, আমরা এমন এক যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি, যেখানে শরীরের নিজস্ব কোষই সবচেয়ে শক্তিশালী ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে।