জাতীয় খেলা কাবাডির সবচেয়ে বড় আসর নারী বিশ্বকাপ এবার বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ থেকে ২৫ নভেম্বর ঢাকার মিরপুরস্থ শহীদ সোহরাওয়ার্দী স্টেডিয়ামে ১৪ দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সংস্করণ। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন।
আগে এই বিশ্বকাপ আয়োজন হওয়ার কথা ছিল ৩-১৩ আগস্ট ভারতের হায়দরাবাদে। কিন্তু ভারতের টুর্নামেন্ট স্থগিত হওয়ার পর তিন মাসের ব্যবধানে বিশ্বকাপ বাংলাদেশে আয়োজন হচ্ছে।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগ জানান, “ভারতে বিশ্বকাপ স্থগিত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশন বাংলাদেশকে আয়োজনের প্রস্তাব দেয়। আমরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে স্বাগতিক হওয়ার আনুষ্ঠানিক সম্মতি প্রকাশ করেছি। আন্তর্জাতিক ফেডারেশনও বাংলাদেশকে হোস্ট হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে।”
এই আয়োজনের জন্য কাবাডি ফেডারেশন ১৪ দেশের টুর্নামেন্টে ১০ কোটি টাকার বেশি বাজেট নির্ধারণ করেছে, যার অর্ধেক অর্থ ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া যাবে। বাকি অর্থ স্পন্সরের মাধ্যমে জোগাড় করা হবে। সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ফেডারেশন অংশগ্রহণকারীদের বিমান ভাড়া বহন করবে, এবং ঢাকায় আগমনের পর থেকে ফেরার সব খরচ কাবাডি ফেডারেশন বহন করবে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, “অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও কাবাডি বিশ্বকাপের মর্যাদা অন্য আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের তুলনায় আলাদা। তাই আমরা প্রাথমিক মূল্যায়ন ও অনুমোদন দিয়েছি।”
বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন বিগত কয়েক বছর আমন্ত্রণমূলক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে এবং চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ফেডারেশন খেলোয়াড়দের ফলাফলের তথ্যভিত্তিক জবাবদিহিতার নিশ্চয়তা দিয়েছে।
বিশ্বকাপ চলাকালীন ভেন্যু মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়াম ব্যবহার করা হবে। ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোতাহের হোসেন জানান, আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনের নিরাপত্তা ও স্টেডিয়াম নির্দেশিকা অনুসরণ করা হবে, খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে নিশ্চিত করা হবে।
২০১২ সালের পর আবার নারী কাবাডি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই বিশ্বকাপে স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়াও অংশগ্রহণ করবে ভারত, আর্জেন্টিনা, চাইনিজ তাইপে, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ইরান, জাপান, কেনিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, নেপাল, থাইল্যান্ড, উগান্ডা এবং জাঞ্জিবার। পাকিস্তান ও পোল্যান্ড স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, “সম্প্রতি নারী এশিয়া কাপ কাবাডিতে আমরা ব্রোঞ্জ পদক জিতেছি, ফলে বিশ্বকাপেও শীর্ষ তিনের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।”
অংশগ্রহণকারী ১৪ দল দুই গ্রুপে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে খেলবে। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার ২-৩ দিন আগে ড্র পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে।