
বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালন করা হয় মা দিবস। ২০২৫ সালের ১১ মে, রবিবার, এ বছর সেই দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে।
ভ্রুণ অবস্থায় সন্তানকে দশ মাস ধরে বহন করা মা, জন্মের পর যিনি হয়ে ওঠেন সন্তানের প্রথম শিক্ষক, পথপ্রদর্শক ও আশ্রয়—তার সম্মানেই আজকের এই আয়োজন। যদিও মাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আলাদা কোনো দিনের প্রয়োজন নেই, তবুও এই দিনে একটু বাড়তি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চায় পৃথিবীর প্রতিটি সন্তান।
মা দিবসের শিকড় খুঁজে পাওয়া যায় প্রাচীন গ্রিসে। তবে আধুনিক মা দিবসের সূচনা করেন মার্কিন নাগরিক আনা মারিয়া রিভস জারভিস। ১৯০৫ সালে তার মা আনা জারভিসের মৃত্যু হলে তিনি মায়ের স্মৃতিকে অমর করে রাখতে চাইলে এই দিবসের প্রচলন শুরু করেন। ১৯০৭ সালে সানডে স্কুলে প্রথমবারের মতো মা দিবস পালিত হয়। পরবর্তীতে ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে মা দিবস হিসেবে জাতীয় স্বীকৃতি দেন।
বাংলাদেশেও এ দিনটি ঘরোয়া পরিবেশে উদযাপিত হয়। সন্তানরা মায়েদের শুভেচ্ছা জানান ফুল, উপহার ও আন্তরিক বার্তার মাধ্যমে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই কবিতা, ছবি বা স্ট্যাটাসের মাধ্যমে মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন। বিভিন্ন ফ্যাশন ব্র্যান্ডও বিশেষ আয়োজন করে—যেমন, রঙ বাংলাদেশ এ উপলক্ষে উন্মোচন করেছে তাদের নতুন টাই-ডাই কটন শাড়ির কালেকশন।
মা দিবসের প্রকৃত তাৎপর্য হলো মায়ের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, ত্যাগ আর স্নেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। এ দিনে আমরা স্মরণ করি সেই মানুষটিকে, যিনি আমাদের জীবনের শুরু থেকেই পাশে থেকেছেন প্রতিটি ধাপে।
বিশ্ব মা দিবসে পৃথিবীর সব মায়েরা যেন ভালো থাকেন—এই হোক আমাদের সবার একান্ত কামনা।