
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয়েছে নারী এশিয়ান কাপ ২০২৬-এর বাছাই পর্বের ড্র। এই ড্রতে বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে শক্তিশালী ‘বি’ গ্রুপে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীন, উজবেকিস্তান এবং উত্তর কোরিয়া।
মোট ১২টি দলকে চারটি পটে ভাগ করে ড্র আয়োজন করে এএফসি। দলগুলোর পট নির্ধারিত হয় ১২ জুন প্রকাশিত ফিফা নারী ফুটবল র্যাঙ্কিং অনুযায়ী। বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর পটে। ড্র শুরু হয় সেই পট দিয়েই। ভারতের ফুটবলার সঙ্গীতা প্রথমে ইরান এবং পরে বাংলাদেশের নাম তোলেন, ফলে বাংলাদেশ পড়ে ‘বি’ গ্রুপে তৃতীয় দল হিসেবে। এরপর ‘সি’ গ্রুপে তৃতীয় দল হিসেবে যুক্ত হয় ভারত।
তৃতীয় পটে থাকা উজবেকিস্তান যখন দ্বিতীয় দল হিসেবে ‘বি’ গ্রুপে যুক্ত হয়, তখনই বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ বাড়তে থাকে। এরপর দ্বিতীয় পট থেকে চীনের নাম ওঠে, যারা বর্তমানে শিরোপাধারী। এ অবস্থায় ‘বি’ গ্রুপ হয়ে ওঠে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে কঠিন একটি গ্রুপ।
অবশেষে এক নম্বর পট থেকে উত্তর কোরিয়ার নাম উঠলে, বাংলাদেশের ‘বি’ গ্রুপের প্রতিপক্ষ হিসেবে চূড়ান্ত হয়— চীন, উজবেকিস্তান এবং উত্তর কোরিয়া। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া পড়েছে ‘এ’ গ্রুপে, নিয়ম অনুযায়ী তারা প্রথম দল হিসেবে নির্ধারিত ছিল।
এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ২০০৬ সালের পর আবারও আসরটি আয়োজন করছে। সেই আসরের অংশ ছিলেন এমন এক নারী ফুটবলার এবার হয়েছেন টুর্নামেন্টের সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি অনুষ্ঠানে বলেন, “২০০৬ সালে আমি অ্যাডিলেডে এই টুর্নামেন্ট খেলেছি। এবার ২০ বছর পর আমি এর সংগঠনের দায়িত্বে। আমরা চাই এই আসর হোক আগের যেকোনো আসরের চেয়ে আরও সফল।”
সিডনি টাউন হলে আয়োজিত এই ড্র অনুষ্ঠান ছিল বেশ জাঁকজমকপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়ান সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পাশাপাশি, ছিল বিশেষ ভিডিও প্রোমো— যেখানে তুলে ধরা হয় টুর্নামেন্টের ভেন্যু, দল এবং আয়োজন পরিকল্পনা।
এএফসি’র নারী বিভাগের প্রধান বলেন, “এই প্রথমবার ১২টি দল নিয়ে নারী এশিয়া কাপ হচ্ছে। এটা নারী ফুটবলের অগ্রযাত্রা ও প্রতিযোগিতার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া ফুটবল ফেডারেশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, দেশটির সরকারের প্রতিনিধিরা এবং এএফসি কর্মকর্তারা।