ফুটবলে নতুন ইতিহাস গড়ল মরক্কো! প্রথমবারের মতো ফিফা অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে আফ্রিকার এই দেশটি। চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোর এস্তাদিও নাসিওনাল হুলিও স্টেডিয়ামে সোমবার ভোরে অনুষ্ঠিত ফাইনালে তারা ২–০ গোলে পরাজিত করেছে লাতিন পরাশক্তি আর্জেন্টিনাকে।
২০০৭ সালের পর এই প্রথম অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল লিওনেল মেসির উত্তরসূরীরা। টানা ছয় ম্যাচে জয় পেয়ে শিরোপার দৌড়ে ছিল তারা ফেবারিট। কিন্তু ভাগ্য এবার সহায় হয়নি তরুণ আলবিসেলেস্তেদের।
পুরো ম্যাচে ৭৬ শতাংশ বল দখলে রেখেও এবং ২০টি শট নেওয়ার পরও প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পায়নি আর্জেন্টিনার তরুণরা। বরং বল পায়ে পেলেই পাল্টা আক্রমণে মরক্কো চাপ তৈরি করেছে তাদের ওপর। শেষ পর্যন্ত সেই চাপের ফলেই ইতিহাস গড়ে ট্রফি উঁচিয়ে ধরে মরক্কো।
মেসির আবেগঘন বার্তা: ‘মাথা উঁচু রাখো, ছেলেরা!’
ফাইনালে হারের পর নিজের উত্তরসূরীদের প্রতি সমর্থন ও সান্ত্বনার বার্তা দিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন,
“মাথা উঁচু রাখো, ছেলেরা! তোমরা অসাধারণ একটি টুর্নামেন্ট খেলেছো। যদিও আমরা সবাই চেয়েছিলাম তোমরা শিরোপা তুলে ধরবে, তবুও তোমাদের দুর্দান্ত সাফল্য আমরা উপভোগ করছি। যেভাবে তোমরা হৃদয় দিয়ে নীল-সাদা জার্সির জন্য লড়েছো, আমরা গর্বিত।”
মেসির এই বার্তা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। ভক্তরা যেমন তরুণ দলের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তেমনি মেসির মানবিক বার্তায় উজ্জীবিত হয়েছেন ভবিষ্যৎ তারকারা।
কোচের কণ্ঠে হতাশা ও শ্রদ্ধা
ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব–২০ দলের কোচ বলেন,
“আজকের পরিস্থিতি আমাদের বিশ্বকাপে আগের ম্যাচগুলো থেকে আলাদা ছিল। আমরা আমাদের শক্তি পুরোপুরি দেখাতে পারিনি। ঘুরে দাঁড়ানো বা একটি গোল করা—কিছুই সম্ভব হয়নি।”
তবে প্রতিপক্ষের প্রশংসাও করেন তিনি—
“জয়টা মরক্কোর প্রাপ্য। তারা শারীরিকভাবে খুব শক্তিশালী দল। আমাদের কিছু খেলোয়াড় তাদের সেরাটা দিতে পারেনি, ফলে ম্যাচটা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।”
চোখের জলে শেষ হলেও, আর্জেন্টিনার তরুণদের লড়াই ফুটবলবিশ্বকে আবার মনে করিয়ে দিল—জার্সির রঙ নয়, আবেগ আর হৃদয়ের খেলাই মাঠে ইতিহাস গড়ে।