
বগুড়ার শাজাহানপুরে মাদক ব্যবসায়ীদের বাধা দেওয়ায় খরনা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শাজাহানপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় উপজেলার খরনা ইউনিয়নের লটাগাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে জানাযায়, উপজেলার খরনা ইউনিয়নের লটাগাড়ি গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে মামুন মিয়া (৫০) এবং তার স্ত্রী রেশমা বেগম (৪০) দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছে। এতে পুরো গ্রামে মাদক ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামের ছোট বড় সহ যুব সমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এমন অভিযোগ গ্রামবাসীর। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হোন খরনা ইউনিয়ন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরুল হোসেন মঞ্জু।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বিএনপি নেতা মঞ্জু মাদক ব্যবসায়ী মামুন মিয়া ও স্ত্রীর রেশমা বেগমকে কে এলাকায় মাদক ব্যবসা করতে নিষেধ করে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত অত্র গ্রামের মোতাহার আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম বিএনপি নেতা মঞ্জুর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডা শুরু হলে মামুন ও নুরুন্নবী তার উপর হামলা করে। ঘটনাস্থলে মঞ্জুর ভাতিজা কৃষক দলনেতা আদম (২৫) এগিয়ে আসলে তার উপরেও হামলা চালিয়ে তাকে আহত করা হয়। এ ঘটনায় গ্রামের মৃত: মহসিন আলীর ছেলে রানা মিয়া (২৮) নামে এক যুবক এগোতে আসলে সেও কিছুটা আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং মাদক ব্যবসায়ী মামুনের মোটরসাইকেল আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এঘটনায় খরনা ইউনিয়ন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরুল হোসেন মঞ্জু দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন, সারাদেশে মাদকের আগ্রাসন তৈরি হয়েছে। আমার গ্রামেও একই অবস্থা। আমার গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মামুনকে বারবার নিষেধ করলেও সে আমার কথা কন্যবাদ করেনি। আজ আবারো নিষেধ করায় তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা করে। এটা আমার ভাতিজা আহত হয়।
এ ঘটনায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করব। আমার এলাকা থেকে মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে আমি তাদের আইনিভাবে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ ঘটনার অভিযুক্ত মামুনকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি বলে তার সাক্ষাৎকার নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী শাজাহানপুর থানার এসআই মেহেদী হাসান বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত মামুনের মোটরসাইকেল আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে। অভিযোগ সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।